জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতি ও আন্দোলনের মূল দর্শন। বিশ্বের ইতিহাসের জঘন্যতম ও নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘ সময় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সংসদ সচিবালয় মসজিদের ইমাম আবু রায়হানের পরিচালনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। স্পিকার বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনে বঙ্গবন্ধুর চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না। সারাজীবন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধেও তিনি কথা বলেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তাকে ছাত্রত্ব হারাতে হয়েছিল। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্দোলন-সংগ্রামকে তিনি বেগবান করেছেন। যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিরল প্রতিভা তার মধ্যে আমরা দেখতে পাই।’ সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক তারিক মাহমুদ ও উপ-পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক উপ-সচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি করেন। সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ, উপ-পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন, ডাক্তার সাইফুল আলম, জয়ন্ত সরকার, খুরশিদা খাতুন, নাজমুন্নাহার পুতুল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করেন।

বক্তব্য রাখেন—চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ আতিকুর রহমান ও ইকবালুর রহিম, সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি উপ-সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সহকারী সচিব আসিফ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বল।